(১)
- তোর কি সাইকেল আছে?
আমি : আছে, আমি চালাইনা ।
- কি বলছিস? আমি যদি ছেলে হতাম না সাইকেল নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতাম ! অনেক জায়গায় যেতাম ।
=> ও হচ্ছে আমার ছোটবেলার এক সহপাঠী, মেয়ে বন্ধু । আজ ও আর বেঁচে নেই ।
হঠাত্ বিয়ে, তারপর শশুড় বাড়ির লোকজন খুব নির্যাতন করতো, সে ও সহ্য করতো,
একদিন তাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে শশুড়বাড়িতে । অপরাধীদের কোন বিচার
হয়নি । কারণ তার স্বামী রাজনৈতিক দল করে ।
(২)
- ও জামাই আমাকে বিয়ে করবা কবে?
আমি : আরো ১০ বছর পরে ।
=> ও আমার প্রতিবেশী এক বড়বোন । আমার সাথে ভীষণ দুষ্টামী করতো । আমি ছোট বলে দুষ্টামী বুঝতাম না । খুব বিরক্ত হতাম । আজ সে ও বেঁচে নেই । বয়ফ্রেন্ড প্রতারণা করেছে, তাই আত্মহত্যা করেছিলো ।
(৩)
আমি যে মেয়েটিকে ভালোবেসে ছিলাম, ভুল করেও তার কাছে যেতামনা, একদিন দুঃসাহস করে তাকে একটা প্রেমপত্র দিয়ে ছিলাম । কোন না কোনভাবে যখন তার পরিবার জেনে গিয়েছিলো ব্যাপারটা, তার ওপর অনেক নির্যাতন নেমে এসেছিলো । আর, স্যারদের বিচারে আমার শাস্তি ছিলো মাত্র ৩টা বেত্রাঘাত । আমাকে এড়িয়ে গেছে সে ভুল পথে চলে গেছে । একবছর পরে হলেও আমি জানতে পারি তাঁর পিঠ থেকে এখনো আঘাতের চিহ্ন মুছে যায়নি ।
- এভাবে নাম্বারিং করে ১০০ টা মেয়ের গল্প লিখে যেতে পারবো আমি । আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবো আধুনিক সমাজেও নারী জীবন কতো বর্বরতায় পূর্ণ, কতোটা অসহায় । সমাজ তাদের জন্য নরকের মতো আচরণ করে ।
সমাজ টা নষ্ট করে রেখেছি আমরা পুরুষরাই । সেই নোংরা থেকে আপন মা বোনদের বাঁচাতে আমরাই আবার শাসক সেজে আইন নীতি তৈরী করছি ।
আপনি গভীর রাতে অপরিচিত মেয়েদেরকে ফোন করে বিরক্ত করছেন, আপনার কিছুই হচ্ছেনা, কিন্তু ঐ মেয়েগুলোর পরিবার মেয়টিকেই অপদস্ত করছে, দোষ দিচ্ছে, ফোন কেড়ে নিচ্ছে । আপনি খুশি তো?
আবার, সে আপনিই নিজের বোনের জন্য আইন তৈরী করতেছেন, সে ফোন ব্যবহার করতে পারবেনা, ঘরের বাইরে যেতে পারবেনা, বাইরের কারো সাথে কথা বলতে পারবেনা ইত্যাদি ।
ঘুরে ফিরে আপনিই মুল দোষী, আর শাস্তি ভোগ করছে কে?
এ মেয়ে গুলো কি অন্য গ্রহের প্রাণী? এদের কি আমাদের মতো স্বপ্ন নেই? অনেক বড় হওয়ার ইচ্ছে নেই? পৃথিবীটা কে দেখার ইচ্ছে নেই? স্বাধীনতা নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার ইচ্ছে নেই?
'নারী অধিকার' 'নারী অধিকার' বলে যারা তিন বেলা চিল্লায়- নারী নির্যাতিত হলে তারা কেন চুপ থাকে? ?
তারা ব্যাখ্যা দেয় এসব ছোট-খাট এবং স্বাভাবিক ঘটনা !
* নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হলো- 'নারী নিরাপত্তা' প্রতিষ্ঠা করা ।
যেদেশে নারী নিরাপত্তা নাই, যেদেশে বাক স্বাধীণতা শুধুমাত্র নাস্তিকদের জন্য, যেদেশে গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য দের বিপক্ষে থাকা-
সে দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন মানে পুরাই ভার্চুয়াল ।
(২)
- ও জামাই আমাকে বিয়ে করবা কবে?
আমি : আরো ১০ বছর পরে ।
=> ও আমার প্রতিবেশী এক বড়বোন । আমার সাথে ভীষণ দুষ্টামী করতো । আমি ছোট বলে দুষ্টামী বুঝতাম না । খুব বিরক্ত হতাম । আজ সে ও বেঁচে নেই । বয়ফ্রেন্ড প্রতারণা করেছে, তাই আত্মহত্যা করেছিলো ।
(৩)
আমি যে মেয়েটিকে ভালোবেসে ছিলাম, ভুল করেও তার কাছে যেতামনা, একদিন দুঃসাহস করে তাকে একটা প্রেমপত্র দিয়ে ছিলাম । কোন না কোনভাবে যখন তার পরিবার জেনে গিয়েছিলো ব্যাপারটা, তার ওপর অনেক নির্যাতন নেমে এসেছিলো । আর, স্যারদের বিচারে আমার শাস্তি ছিলো মাত্র ৩টা বেত্রাঘাত । আমাকে এড়িয়ে গেছে সে ভুল পথে চলে গেছে । একবছর পরে হলেও আমি জানতে পারি তাঁর পিঠ থেকে এখনো আঘাতের চিহ্ন মুছে যায়নি ।
- এভাবে নাম্বারিং করে ১০০ টা মেয়ের গল্প লিখে যেতে পারবো আমি । আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারবো আধুনিক সমাজেও নারী জীবন কতো বর্বরতায় পূর্ণ, কতোটা অসহায় । সমাজ তাদের জন্য নরকের মতো আচরণ করে ।
সমাজ টা নষ্ট করে রেখেছি আমরা পুরুষরাই । সেই নোংরা থেকে আপন মা বোনদের বাঁচাতে আমরাই আবার শাসক সেজে আইন নীতি তৈরী করছি ।
আপনি গভীর রাতে অপরিচিত মেয়েদেরকে ফোন করে বিরক্ত করছেন, আপনার কিছুই হচ্ছেনা, কিন্তু ঐ মেয়েগুলোর পরিবার মেয়টিকেই অপদস্ত করছে, দোষ দিচ্ছে, ফোন কেড়ে নিচ্ছে । আপনি খুশি তো?
আবার, সে আপনিই নিজের বোনের জন্য আইন তৈরী করতেছেন, সে ফোন ব্যবহার করতে পারবেনা, ঘরের বাইরে যেতে পারবেনা, বাইরের কারো সাথে কথা বলতে পারবেনা ইত্যাদি ।
ঘুরে ফিরে আপনিই মুল দোষী, আর শাস্তি ভোগ করছে কে?
এ মেয়ে গুলো কি অন্য গ্রহের প্রাণী? এদের কি আমাদের মতো স্বপ্ন নেই? অনেক বড় হওয়ার ইচ্ছে নেই? পৃথিবীটা কে দেখার ইচ্ছে নেই? স্বাধীনতা নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচার ইচ্ছে নেই?
'নারী অধিকার' 'নারী অধিকার' বলে যারা তিন বেলা চিল্লায়- নারী নির্যাতিত হলে তারা কেন চুপ থাকে? ?
তারা ব্যাখ্যা দেয় এসব ছোট-খাট এবং স্বাভাবিক ঘটনা !
* নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম শর্ত হলো- 'নারী নিরাপত্তা' প্রতিষ্ঠা করা ।
যেদেশে নারী নিরাপত্তা নাই, যেদেশে বাক স্বাধীণতা শুধুমাত্র নাস্তিকদের জন্য, যেদেশে গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠ্য দের বিপক্ষে থাকা-
সে দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন মানে পুরাই ভার্চুয়াল ।
No comments:
Post a Comment